পোস্টগুলি

জুন, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

এক নজরে ছাগলের পুষ্টি ও অভাবজনিত রোগ:-

এক নজরে ছাগলের পুষ্টি ও অভাবজনিত রোগঃ সেলেনিয়ামের অভাবঃ  দুর্বল পেশী  শ্বাস প্রশ্বাস। দস্তার অভাবঃ শক্ত জয়েন্টগুলিতে, ত্বকের সমস্যা, প্রজননে অনিহা, বিকৃত ক্ষুর, অত্যাধিক লালা নির্গত হওয়া। কপারের অভাবঃ কর্কস লোম, গর্ভপাত, মৃত বাচ্চা প্রসব, ওজন ও দুধ সরবরাহ কমে যাওয়া।  ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস অভাব: হাড় বিকৃতি বাচ্চার জন্ম, দুধ জ্বর। আয়োডিন ঘাটতি: গলগন্ড। লোহা অভাব: রক্তশ‚ন্যতা, দুর্বলতা। সোডিয়াম অভাব: মাটি ও ময়লা খায়। ম্যাঙ্গানিজ অভাব: বাচ্চাদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধির, উর্বরতা হ্রাস এবং মৃত্যু পর্যন্ত হয়।

গবাদী পশুতে ইউরিয়া ও চিটাগুড়(মোলাসেস)

#গবাদী পশুতে ইউরিয়া ও চিটাগুড়(মোলাসেস)ঃ #গবাদিপশু মোটাতাজাকরণ এবং উৎপাদন দুই ক্ষেত্রেই কাঁচা ঘাসের সংকট আছে। এ সংকট মোকাবিলায় আমরা ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র কে ঘাসের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করত পারি। তবে এর পরিমাণ দিনে ৩-৪ কেজির ঊর্ধ্বে হওয়া যাবে না। ৩-৪ কেজির বেশি ইউরিয়া মিশ্রিত খর খাওয়ালে গরুতে ইউরিয়া বিষক্রিয়া দেখা দিতে পারে। কারণ একটি গরু মিশ্রিত উপকরণের সাথে দৈনিক গড়ে ৫০-৬০ গ্রাম ইউরিয়া শরীরবৃত্তির কাজে ব্যবহার করতে পারে। এর বেশি ইউরিয়া খাওয়ালে পশুতে বিষক্রিয়া হয়। ১০ কেজি শুকনো খড় টুকরো টুকরো কাটুন। ৫ লিটার পানি একটি বালতিতে রাখুন; এ ৫ লিটার পানির মধ্যে ২.৫ কেজি (আড়াই কেজি) চিটাগুড় মিশান, চিটাগুড় মিশ্রিত হলে এর সাথে ২৫০ গ্রাম (এক পোয়া) ইউরিয়া মেশান। এখন ইউরিয়া এবং চিটাগুড় মিশ্রিত পানির দ্রবণটি ১০ কেজি খড়ের সাথে ভালোভাবে মেশান। ব্যাস, ইউরিয়া মোলাসেস তৈরি হয়ে গেলো। এখন এ খড় প্রতিদিন প্রতিটি গরুকে ৩ থেকে ৪ কেজি পরিমাণ খাওয়াবেন। ৩ থেকে ৪ কেজির বেশি ইউএমএস এক দিনে একটি গরুকে খাওয়ানো যাবে না। এখন খাদ্য তালিকায় আরও যা রাখবেন তা হচ্ছে গরু প্রতি প্রতিদিন ৫-৬ কেজি কাঁচাঘাস ঘাস খাওয়াতে হবে। দানাদা...

পশুর বয়স নির্ণয়,জেনে রাখুন কাজে লাগবে ।

পশুর বয়স  নির্ণয়ঃ আদর্শ  ছাগল  পালন গাইড থেকে। গরু ছাগল পালন করার জন্য এদের বয়স জানা দরকার। পশুর রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা, ঔষধ প্রয়োগ, উৎপাদনের দক্ষতা প্রভৃতি বিষয়ের জন্যও পশুর সঠিক বয়স জানা জরুরী। পশুর বয়স আমরা ৩ ভাবে বের করতে পারি। ০১। দাঁত দেখে বয়স নির্ণয়। ০২। শিং দেখে বয়স নির্ণয়। ০৩। জন্মতারিখ দেখে বয়স নির্ণয়। ০১ দাঁত দেখে বয়স নির্ণয়ঃ- আমাদের দেশে দাঁত দেখে পশুর বয়স নির্ণয় একটি প্রচলিত ও সহজ পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে পশুর বয়স সম্পর্কে প্রাথমিক ধারনা পাওয়া যায়। গবাদীপশুর দুই ধরনের দাঁত থাকে। ক) অস্থায়ী দাঁত, খ) স্থায়ী দাঁত। অস্থায়ী দাঁতঃ গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়ার অস্থায়ী দাঁতের সংখ্যা ২০টি। এর মধ্যে ৮টি কর্তন দাঁত। ১-১.৫ বছর পর থেকে অস্থায়ী দাঁত বাড়া শুরু করে। স্থায়ী দাঁতঃ গরু ছাগলের স্থায়ী দাঁতের সংখ্যা ৩২টি। ক) জন্মের ১মাসের মধ্যে ৮টি অস্থায়ী কর্তন (ইনসাইজার) দাঁত গজায়। খ) ১৬ থেকে ২৪ মাস বয়সে ১ম জোড়া (২টি), অস্থায়ী কর্তন দাঁত পড়ে যায় এবং ২টি স্থায়ী কর্তন দাঁত গজায়। (ছাগল ১৪-১৬ মাস) গ) পশুর ১৭ থেকে ৩৩ মাস বয়সে ২য় জোড়া অস্থায়ী কর্তন দাঁত পড়ে যায় এবং পুনরায় ২টি স্থায়ী কর...