পোস্টগুলি

এক নজরে ছাগলের পুষ্টি ও অভাবজনিত রোগ:-

এক নজরে ছাগলের পুষ্টি ও অভাবজনিত রোগঃ সেলেনিয়ামের অভাবঃ  দুর্বল পেশী  শ্বাস প্রশ্বাস। দস্তার অভাবঃ শক্ত জয়েন্টগুলিতে, ত্বকের সমস্যা, প্রজননে অনিহা, বিকৃত ক্ষুর, অত্যাধিক লালা নির্গত হওয়া। কপারের অভাবঃ কর্কস লোম, গর্ভপাত, মৃত বাচ্চা প্রসব, ওজন ও দুধ সরবরাহ কমে যাওয়া।  ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস অভাব: হাড় বিকৃতি বাচ্চার জন্ম, দুধ জ্বর। আয়োডিন ঘাটতি: গলগন্ড। লোহা অভাব: রক্তশ‚ন্যতা, দুর্বলতা। সোডিয়াম অভাব: মাটি ও ময়লা খায়। ম্যাঙ্গানিজ অভাব: বাচ্চাদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধির, উর্বরতা হ্রাস এবং মৃত্যু পর্যন্ত হয়।

গবাদী পশুতে ইউরিয়া ও চিটাগুড়(মোলাসেস)

#গবাদী পশুতে ইউরিয়া ও চিটাগুড়(মোলাসেস)ঃ #গবাদিপশু মোটাতাজাকরণ এবং উৎপাদন দুই ক্ষেত্রেই কাঁচা ঘাসের সংকট আছে। এ সংকট মোকাবিলায় আমরা ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র কে ঘাসের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করত পারি। তবে এর পরিমাণ দিনে ৩-৪ কেজির ঊর্ধ্বে হওয়া যাবে না। ৩-৪ কেজির বেশি ইউরিয়া মিশ্রিত খর খাওয়ালে গরুতে ইউরিয়া বিষক্রিয়া দেখা দিতে পারে। কারণ একটি গরু মিশ্রিত উপকরণের সাথে দৈনিক গড়ে ৫০-৬০ গ্রাম ইউরিয়া শরীরবৃত্তির কাজে ব্যবহার করতে পারে। এর বেশি ইউরিয়া খাওয়ালে পশুতে বিষক্রিয়া হয়। ১০ কেজি শুকনো খড় টুকরো টুকরো কাটুন। ৫ লিটার পানি একটি বালতিতে রাখুন; এ ৫ লিটার পানির মধ্যে ২.৫ কেজি (আড়াই কেজি) চিটাগুড় মিশান, চিটাগুড় মিশ্রিত হলে এর সাথে ২৫০ গ্রাম (এক পোয়া) ইউরিয়া মেশান। এখন ইউরিয়া এবং চিটাগুড় মিশ্রিত পানির দ্রবণটি ১০ কেজি খড়ের সাথে ভালোভাবে মেশান। ব্যাস, ইউরিয়া মোলাসেস তৈরি হয়ে গেলো। এখন এ খড় প্রতিদিন প্রতিটি গরুকে ৩ থেকে ৪ কেজি পরিমাণ খাওয়াবেন। ৩ থেকে ৪ কেজির বেশি ইউএমএস এক দিনে একটি গরুকে খাওয়ানো যাবে না। এখন খাদ্য তালিকায় আরও যা রাখবেন তা হচ্ছে গরু প্রতি প্রতিদিন ৫-৬ কেজি কাঁচাঘাস ঘাস খাওয়াতে হবে। দানাদা...

পশুর বয়স নির্ণয়,জেনে রাখুন কাজে লাগবে ।

পশুর বয়স  নির্ণয়ঃ আদর্শ  ছাগল  পালন গাইড থেকে। গরু ছাগল পালন করার জন্য এদের বয়স জানা দরকার। পশুর রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা, ঔষধ প্রয়োগ, উৎপাদনের দক্ষতা প্রভৃতি বিষয়ের জন্যও পশুর সঠিক বয়স জানা জরুরী। পশুর বয়স আমরা ৩ ভাবে বের করতে পারি। ০১। দাঁত দেখে বয়স নির্ণয়। ০২। শিং দেখে বয়স নির্ণয়। ০৩। জন্মতারিখ দেখে বয়স নির্ণয়। ০১ দাঁত দেখে বয়স নির্ণয়ঃ- আমাদের দেশে দাঁত দেখে পশুর বয়স নির্ণয় একটি প্রচলিত ও সহজ পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে পশুর বয়স সম্পর্কে প্রাথমিক ধারনা পাওয়া যায়। গবাদীপশুর দুই ধরনের দাঁত থাকে। ক) অস্থায়ী দাঁত, খ) স্থায়ী দাঁত। অস্থায়ী দাঁতঃ গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়ার অস্থায়ী দাঁতের সংখ্যা ২০টি। এর মধ্যে ৮টি কর্তন দাঁত। ১-১.৫ বছর পর থেকে অস্থায়ী দাঁত বাড়া শুরু করে। স্থায়ী দাঁতঃ গরু ছাগলের স্থায়ী দাঁতের সংখ্যা ৩২টি। ক) জন্মের ১মাসের মধ্যে ৮টি অস্থায়ী কর্তন (ইনসাইজার) দাঁত গজায়। খ) ১৬ থেকে ২৪ মাস বয়সে ১ম জোড়া (২টি), অস্থায়ী কর্তন দাঁত পড়ে যায় এবং ২টি স্থায়ী কর্তন দাঁত গজায়। (ছাগল ১৪-১৬ মাস) গ) পশুর ১৭ থেকে ৩৩ মাস বয়সে ২য় জোড়া অস্থায়ী কর্তন দাঁত পড়ে যায় এবং পুনরায় ২টি স্থায়ী কর...

থ্রিলার অবিশ্বাসী ও গোলাপী অন্তর্বাস১+২

অবিশ্বাসী ও গোলাপী অন্তর্বাস১+২ #অবিশ্বাসী_ও_গোলাপী_অন্তর্বাস ১+ ২ স্ত্রী কে চকলার উদ্দেশ্যে গাড়িতে তুলে দিয়ে বেশ খুশী মনে গুনগুন করে গান গাইতে গাইতে একটা পিজ্জা আর বিয়ারের কয়েকটা ক্যান নিয়ে বাড়িতে ঢোকে সিজার। তিয়াশ আসবে একটু পরেই, ওর সাথে দারুন প্ল্যান করা আগে থেকেই। সিজারের স্ত্রী একটি বেসরকারি সংস্থায় ডাটা কালেক্টরের কাজ করে। তাই মাঝে মাঝেই তাকে দুর্গম সাওতাল পুঞ্জিতে যেতে হয়। সে সময় গুলো সিজার তিয়াশকে নিয়ে কাটায়, বাইশ বছরের তিয়াশা সিজারের অফিসের জুনিয়র কলিগ। মেয়েটা শরীর তো নয় যেন একটা আগুনের আস্তানা! বিছানায় ঝড় তোলে কত সহজে, সিজার নিজের হারিয়ে ফেলে বারবার। কত রকম নখরাই না মেয়েটা জানে!! সিজারের স্ত্রী দশ বছর সংসার করার পরে এখন ফ্রিজিড হয়ে গিয়েছে, স্থূল শরীর, না সিজারকে জাগাতে পারে না নিজে উত্তেজিত হয়! সিজারের ভালো লাগে না একদম, তবু সিজার বুঝতে দেয় না একদম। প্রতিদিনই ভালোবাসি বলে মেকি আদরে ঢেকে রাখে সম্পর্ক। মেয়েটাও বোকা, কিচ্ছু টের পায় না। এই যে প্রায়ই সিজার অফিস শেষে তিয়াশের ফ্ল্যাটে সময় কাটিয়ে ফেরে, সেটাও ধরতে পারেনা। নিজের মতো ব্যস্ত থাকে। দশ বছরেও কোন ইস্যু না...

বায়োফ্লক নিয়ে খোলামেলা কিছু কথা। পর্ব‌‌‌‌‌-02

ছবি
আপডেট পর্বঃ ০২ বায়োফ্লক এ Raw salt & চুন ব্যবহার করা হয় কেন? বায়োফ্লক নিয়ে কয়েক মাস থেকে অনেক ঘাটাঘাটি করলাম। যারা বায়োফ্লকে মাছ চাষ করছেন তাদের অনেকের সাথে কথা বললাম। ২ টি বায়োফ্লক খামার সরাসরি ভিজিট করলাম। কেন যেন মনে হল উনারা বায়োফ্লকে মাছ চাষের কথা, লাভ লোকসানের কথার চেয়ে ট্রেনিং কিংবা মালামাল ক্রয় দিকেই বেশী মনোযোগী। কেউ বা বলছেন আমি ১/২ বছর ধরে করছি, জিজ্ঞেস করলাম ভাই কত খরচ, কত লাভ হল, একটু বলুন, তাহলে আমরা সাহস পাব। উনি বললেন হতাস uহবার কিছু নেই, লাভ হয়েছে তাইতো লেগে আছি। আমি অনেক কে জিজ্ঞেস করেছি, কেউই বলতে পারে নি। জিজ্ঞেস করলাম কি probiotic ব্যবহার করেন, উত্তরে বললেন আমাদের সামনের সোমবার থেকে ট্রেনিং দেয়া হবে। ওখানে সব শিখতে পারবেন। বললাম ফি কত, বলল ৭০০০ টাকা। হিসেব করলাম এভাবে মাসে ৭ জনকে ট্রেনিং দিলেই তো ৫০,০০০ হাজার, আর মালামাল বিক্রি করে মাসে ২০০০০ টাকা। তো ব্যবসা এটাই ভাল। বায়োফ্লকে লস আসলেও সমস্যা নেই। আমি science & technology তে বিশ্বাস করি যেহেতু আমি একজন মৎস্যচাষী, এবং এ বিষয়ে আমার পড়াশোনা ও চাকুরী সবকিছু। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম আমি একটি ১০০০০ লিটারের ...

দশ দিকের নাম,,,

দশ দিকের নাম কি কি? বি‌ভিন্ন সময়, কা‌জে ও স্থা‌নে দিক নির্ণয়ের গুরুত্ব অপ‌রিসীম। তাই এসব দিক জানা থাকাটা অত্যন্ত জরু‌রি। পৃ‌থিবী‌তে প্রধান চারটি দিক (কোণ) আ‌ছে অর্থাৎ যেগুলো আমরা সকলেই জানি- পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর এবং দক্ষিণ। এছাড়াও বাকি আরও ছয়টা দিক আছে যা সবার কা‌ছে প‌রি‌চিত নয়, সেগুলো হলঃ ঈশাণ, অগ্নি, নৈঋত, বায়ু, উর্দ্ধ এবং অধঃ। ★ বাংলা দশ দিকের নামঃ ১। পূর্ব, ২। পশ্চিম, ৩। উত্তর, ৪। দক্ষিণ, ৫। উত্তর-পূর্ব বা ঈশাণ, ৬। দক্ষিণ-পূর্ব বা অগ্নি, ৭। দক্ষিণ-পশ্চিম বা নৈঋত, ৮। উত্তর-পশ্চিম বা বায়ু, ৯। আকাশ বা উর্দ্ধ এবং ১০। পাতাল বা অধঃ। ১০টি দিকের আলাদা আলাদা নামের ইং‌রে‌জি আমরা অনেকেই জানি না। তাই দশ দি‌কের বাংলা ও ইং‌রে‌জি নাম নি‌চে দেয়া হ‌লো। যথাঃ- ★ ইংরেজী দশ দিকের নামঃ ১। পূর্ব- East, ২। পশ্চিম- West, ৩। উত্তর- North, ৪। দক্ষিণ- South, ৫। উত্তর-পূর্ব বা ঈশাণ- North-East, ৬। দক্ষিণ-পূর্ব বা অগ্নি- South-East, ৭। দক্ষিণ-পশ্চিম বা নৈঋত- South-West, ৮। উত্তর-পশ্চিম বা বায়ু- North-West, ৯। আকাশ বা উর্দ্ধ- Upward, ১০। পাতাল বা অধঃ- Downward.
ছবি
পৃথিবীর বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার, ব্লগার ও লেখক “কিরজেইডা রডরিগুয়েজ" “ক্যান্সরে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার আগে লিখে যাওয়া একটি নোট। --- ১.পৃথিবীর সবচেয়ে দামী ব্রান্ডের গাড়িটি আমার গ্যারাজে পড়ে আছে। কিন্তু আমাকে বসে থাকতে হয় হুইল চেয়ারে। . ২.সব রকমের ডিজাইনের কাপড়, জুতো, দামি জিনিসে আমার গৃহ ভরপুর। কিন্তু আমার শরীর ঢাকা থাকে হাসপাতালের দেয়া সামান্য একটা চাদরে। . ৩.ব্যাংক ভর্তি আমার টাকা। কিন্তু সেই টাকা এখন আর আমার কোনো কাজে লাগে না। . ৪.প্রাসাদের মতো আমার গৃহ কিন্তু আমি শুয়ে আছি হাসপাতালের টুইন সাইজের একটা বিছানায়। . ৫.এক ফাইভ স্টার হোটেল থেকে আরেক ফাইভ স্টার হোটলে আমি ঘুরে বেড়াতাম। কিন্তু এখন আমার সময় কাটে হাসপাতালের এক পরীক্ষাগার থেকে আরেক পরীক্ষাগারে। . ৬.শত শত মানুষকে আমি অটোগ্রাফ দিয়েছি- আর আজ ডাক্তারের লেখা প্রেসক্রিপশানটাই আমার অটোগ্রাফ। . ৭.আমার চুলের সাজের জন্য সাতজন বিউটিশিয়ান ছিলো-আজ আমার মাথায় কোনো চুলই নেই। . ৮.ব্যক্তিগত জেটে আমি যেখানে খুশী, সেখানেই উড়ে যেতে পারতাম। কিন্তু হাসপাতালের বারান্দায় যেতেও এখন আমার দুজন মানুষের সাহায্য নিতে হয়। . 9.পৃথিবীব্যা...